সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় পাকা গ্রামেরই বাসিন্দা মতিয়ার রহমানকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
আজীজ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় মতিয়ার বাইসাইকেলযোগে এবং আজিজ ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় রাস্তায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দু’জন। এক পর্যায়ে মতিয়ারকে থাপ্পড় মারেন আজীজ।
রাত ৯টার দিকে আজীজ রাতের খাবার খেয়ে স্থানীয় বাজারে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে মতিয়ার ও তার ভাই নেসারউদ্দিন-নাসিরউদ্দীনসহ ৪-৫ জন মিলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
আজীজের চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন আজীজকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মতিয়ার, নেসারউদ্দিন ও নাসিরউদ্দিন ছাড়া বাকিদের নাম জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের পর সবাই পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছি এবং ওই এলাকায় এখন বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পলাতক অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
এছাড়া আজীজের মরদেহ ময়না-তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এমএএম/এইচএ/