ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ সুপার, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নিরাপত্তা দিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
পুলিশ সুপার, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নিরাপত্তা দিন পুলিশ সুপার, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নিরাপত্তা দিন

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জালকুড়ি মিছির আলী ডিগ্রি কলেজের বি-এ শিক্ষার্থী লাকি আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নিরাপত্তা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকালে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন মাননীয় পুলিশ সুপার, আপনার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নিরাপত্তা চাই। ” এই মর্মে লিখিত একটি প্ল্যাকার্ড সম্বলিত ওই শিক্ষার্থীর একটি ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লাকি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে (তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ) যাওয়ার নিরাপত্তা চেয়ে তিনি গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার তার বাবা আরেকটি জিডি করেন(জিডি নং-৫৩০)। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো যাদের কারণে তিনি কলেজে যেতে পারছেন না, তারা প্রতিদিনই বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, আলীরটেক মৌলভীবাড়ি ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক জাকির হোসেনের মেয়ে তিনি। বাবা জাকির হোসেনসহ পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে তাদের আপন খালা শারমিন একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তারা সবাই জামিনে রয়েছেন। আদালতে প্রক্রিয়াধীন থাকা মামলাটিতে এখন খালা শারমিন সুবিধা করতে না পেরে উল্টো লোকজন দিয়ে আদালতে যেতে বাধা দিচ্ছেন।

লাকির ভাষ্য, গত ৪ মাস ধরে আলীরটেক এলাকার শাহজালাল নামে এক ব্যক্তি খালার পক্ষ হয়ে বাড়িতে এসে বলে যাচ্ছে সে আওয়ামী লীগের অমুক নেতার ভাই। বেশি বাড়াবাড়ি যেন না করা হয়। বাসা থেকে বের হলেই পিছনে লোকজন লাগিয়ে দেয়। উদ্দেশ্যে যাতে তার ভয়ে আমরা আদালতে না যাই। আর এই সুযোগে তারা চায় ওই মামলায় একতরফা রায় নিয়ে আসতে।

‘এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার পুনরায় আমার বাবা জাকির হোসেন সদর থানায় শাহ জালালের নামে আরেকটি জিডি করেন। এর জের ধরে গত শনি, রবি ও সোমবার ধারাবাহিকভাবে লোক মারফত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে শাহ জালাল ও তার লোকজন। গত ৪ মাস ধরে এ অব্যাহত হুমকির মুখে আমি টেস্ট পরীক্ষা দিতে শুধু একটিবার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে কলেজে যেতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন আর পারছি না। ’

‘গত ৮ মার্চ করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা আজগর আলী ও গত শুক্রবার করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই মহিউদ্দিন। কিন্তু একটিবারের জন্যও ওই পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্তে আসেননি। এই সুযোগে হুমকিদাতারা আরো বেপরোয়া আচারণ করছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় বাসা থেকে বের হতেও পারছি না। বাধ্য হয়েই পুলিশ সুপারে কাছে কলেজে যাওয়ার নিরাপত্তা চেয়ে ফেসুবুকে ছবি পোস্ট করেছি। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের খালা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলায় আইনগতভাবে যে রায় হবে তা মাথা পেত নেব। কিন্তু খালার হয়ে সন্ত্রাসী শাহ জালালের হুমকিতে আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ’

এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় গত শুক্রবার করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মহিউদ্দিন জানান, তিনি খুব শিগগিরই তদন্তের জন্য সেখানে যাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এমআরপি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।