কয়েকটি দেশে লুকিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যাপারে এ কথা বলেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি উল্লেখ করতে চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯৮/৯৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান।
তদানীন্তন পররাষ্ট্র সচিব শফি সামি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন। তখন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন জোর গলায় বলেছিলেন খুনিরা কোনো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবে না।
আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই সব দেশেই প্রেসিডেন্ট অন্য কেউ হতে পারে কিন্তু অফিসটা কনটিনিউআস। তার উদ্বেগের পর স্বাভাবিকভাবে আমাদের একটা আশা জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলো, তারা এ বিষয়ে গড়িমসি করছে। এ বিষয়ে আমাদের আরোও চাপ সৃষ্টি করতে হবে। আমার জানা মতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী এ বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন এবং কাজও করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ একাধিকবার বিষয়টি কানাডার হাইকমিশনারকে বলেছে। কিন্তু তারাও ‘দেখি’ ‘দেখি’ করে সময়ক্ষেপন করেই যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কানাডার ভূমিকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খুনিকে আশ্রয় দিয়ে কানাডা আইনের শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। আমরা তিন জন খুনির অবস্থান জানি। তাদের মধ্যে একটি দেশ আইনগত কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আসামিদের হস্তান্তর করতে চাচ্ছে না। কিন্তু আমরা অন্য উপায় বের করাও চেষ্টা করছি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরাতে সমস্য হবার কথা নয়। তবে সেদেশে লিগ্যাল প্রসেসটা ভালোভাবে মেনে চলতে হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রকার সমস্যা হবার কথা নয়। কারণ তাদের দেশেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। কানাডার ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনগত সমস্যা রয়েছে কারণ সেদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪,২০১৭
কেজেড/আরআই