ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৭ দিনের মধ্যেই জিয়া সেনাপ্রধান হন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৭ দিনের মধ্যেই জিয়া সেনাপ্রধান হন’ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি

গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাত দিনের মধ্যেই জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন। তাই একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত ছিলো তা বের করতে হবে’।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় ডিস্ট্রিক্ট আই কেয়ার প্রোগ্রাম ‘ভিশন বাংলাদেশ’র আওতায় চক্ষু স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাইটসেভার্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ সেলিম বলেন, ‘শফিউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, সাখাওয়াত ও জামিলরা যদি এগিয়ে আসতেন তাহলে খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারতো না। তাহলে কী কারণে ওই সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে আসেননি? এর জবাব জাতি জানতে চায়। এজন্য তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি’।

তিনি বলেন, ‘সেনাবহিনীর সমস্ত নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে মাত্র ১৫ জন অফিসার কীভাবে ক্যান্টনমেন্টে ঢোকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিলো। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো। তাদের গ্রেফতার করে কোর্ট মার্শাল করা উচিত ছিলো। তা না করে ওইসব খুনিদের নিয়ে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তারা মোস্তাকের পক্ষে অবস্থান নেন। তাহলে ধরে নিতে হবে এসব সেনা কর্মকর্তারা সব জানতেন।

শেখ সেলিম বলেন, ‘কীভাবে দেড় ল‍াখ সেনা সদস্য ১৫ জন অফিসার ও ২শ’ সিপাহির কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। এটা হতে পারে না। এজন্য একটা তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। কারণ সেদিন (৭৫-র ১৫ আগস্ট) সকাল ৬টার পর কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য তার বাড়িতে যান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার এক ঘণ্টা আগে সেনা প্রধান শফিউল্লাহকে ফোন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু সেদিন তিনি এগিয়ে আসেননি’।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন-গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সাইট সেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলাম, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক বিমল কৃষ্ণ বাইন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ পৌরসভা মেয়ার ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, কাজুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন খান মন্টু প্রম‍ুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।