পানি ঠেকাতে দুই স্তরে ফেলা বালির বস্তাও উপচে পড়তে চাইছে নদীর পানি। এমন বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে গাইবান্ধা সাঘাটা রোড কাম শহর রক্ষা বাঁধের কয়েক কিলোমিটার এলাকা।
বিশেষ করে ভাঙার মোড়, উল্যাবাজার ও ভরতখালী বাজার এলাকায় অনেক বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। এসব এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে পানি। আর সড়কের যেদিকে পানি গড়িয়ে পড়ছে সেখানে ঘরবাড়ি পানির স্তর থেকে ৬ থেকে ৮ ফুট নিচে।
আর যদি কয়েক ইঞ্চি পানিও বৃদ্ধি পায় তাহলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৯ ইঞ্চির মতো পানি বেড়েছে। কোন কারণে বাঁধের ক্ষতি হলে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন সাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকলে গাইবান্ধা শহর তলিয়ে যেতে যাবে। আর যমুনা নদীতে যে স্রোত রয়েছে তাতে ঘরবাড়ি সব ভেসে যাবে। এমনকি কয়েকটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তার শঙ্কার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায় ভরতখালী বাজার এলাকায় গেলে। এখানে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর অবস্থিত সড়কটির পূর্বে যমুনা নদীর দিকে সাত ফুটের মতো উঁচুতে রয়েছে পানি। আর পশ্চিমে বাড়িগুলো অনেক নিচুতে। পানি ঢুকে পড়লে ঘরের চালা বরাবর আঘাত হানবে। আর যদি রাতে ঘটে তাহলে ভয়ঙ্কর ট্রাজেডি ঘটতে পারে।
তবে আশার কথা হচ্ছে বৃষ্টি থেমে গেছে। তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন, টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। পথে তাদের লোকজনকে বালুর বস্তা ও ট্রাকে করে বালি ফেলতে দেখা গেছে।
তবে এতে শেষ রক্ষা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এদিকে বিকেলে কুঁকরাহাট এলাকায় পৌঁছেছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে তারা এসেছেন রেসকিউ অপারেশনে, এর বেশি জানাতে রাজি হলেন না নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এসআই/আরআই