ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সৈয়দপুরে পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ, চলছে বাঁধ মেরামত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
সৈয়দপুরে পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ, চলছে বাঁধ মেরামত শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে হু হু করে ঢুকছে বন্যার পানি। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে হু হু করে ঢুকছে বন্যার পানি। এ পানিতে শহরের মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়ি, নতুন বাবুপাড়া, সৈয়দপুর সেনানিবাস কুন্দল, বসুনিয়াপাড়া, কাজিরহাট ও পাটোয়ারীপাড়া এলাকা কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

চারদিনের টানা বর্ষণে রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে খড়খড়িয়া নদীর বামতীরে পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়া ও বসুনিয়ার দুই স্থানে শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে উপজেলা শহরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর উত্তর দিকে বাঁধের বসুনিয়াপাড়া অংশটি ভেঙে ওই এলাকাও পানিতে তলিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ওইসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পাউবো, উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ভাঙার আগে শহররক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে। কিন্তু বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে প্রবল স্রোত থাকায় তা মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ওই পানি শহরে ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ভেঙে যাওয়ার পর শহররক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।

১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তিন হাজার বন্যার্ত মানুষ।  ছবি: বাংলানিউজসোমবার (১৪ আগস্ট) পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ মো. শওকত চৌধুরী এমপি বন্যা দুর্গত চওড়া, খাতামধুপুর, হাজারীহাট, বাঙালিপুর, ও পাটোয়ারীপাড়া পরিদর্শন করেছেন। হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে বন্যার্ত মানুষের মাঝে চাল, ডাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন তিনি।

তিনি বলেন, শহররক্ষা বাঁধটি ধসে যাওয়ায় শহরের পশ্চিম ও দক্ষিণ এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় এবং বন্যা পরবর্তী ত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানান তিনি।

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার জানান, শহরের দিনাজপুর সড়কের হাসপাতাল এলাকা ও পাটোয়ারীপাড়ার রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। যেভাবে পানি উঠতে শুরু করেছে, তাতে ওইসব এলাকার ঘর-বাড়িও তলিয়ে যেতে পারে।

সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন জানান, পৌরসভা ও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষকে ১৬টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সাময়িক আশ্রয়ের জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সরকারি ও স্থানীয় উদ্যোগে তাদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।

পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  ছবি: বাংলানিউজসৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুর রশীদ এ মানবিক বিপর্যয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন তারা। ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে উপজেলা শহরের বাইরে কোথাও বাড়ছে, কোথাও কমতে শুরু করেছে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।