ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে ছাতার কদর, ব্যস্ত কারিগররাও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
টানা বৃষ্টিতে ছাতার কদর, ব্যস্ত কারিগররাও টানা বৃষ্টিতে ছাতার কদর আর বিক্রি বেড়েছে সৈয়দপুরে। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: টানা বৃষ্টিতে ছাতার কদর আর বিক্রি বেড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। উপজেলা শহরের বিপণি বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে রং-বেরঙের ছাতা। হিড়িক পড়েছে পুরনো ছাতা মেরামতেরও।

এ বছর সৈয়দপুর শহরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ছাতা মেরামতকারী মৌসুমী কারিগরদেরও আনাগোনা বেড়েছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

উপজেলার মার্কেটগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছাতা বিক্রির খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়।

গ্রাম-গঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে জেলা শহর ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ছাতা কিনতে আসছেন তারা।

ছাতা মেরামতে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের।                                          ছবি: বাংলানিউজউপজেলা শহরের শামসুল হক রোডের পাইকারি বিক্রেতা হাসান ছাতা স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী হাজী মো. নজরুল হক কর্মচারীদের নিয়ে ক্রেতাদের সামলাতে খুব ব্যস্ত। তিনি জানান, লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ছাতা বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি ডজন মধ্যম আকারের ছাতা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায়।

তবে গত বছরের তুলনায় এবার ছাতার দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডের ছাতা ব্যবসায়ী রফিকুল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ছাতা অর্ডার করেছি এক সপ্তাহ আগে। এখনো ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে পৌঁছেনি। সময়মতো না আসায় গত বছরের তুলনায় এবার ছাতাপ্রতি দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি ছাতা বিক্রি হচ্ছে। এ বছর গুণগত মান অনুসারে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ছাতা ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত’।

নতুন নতুন ডিজাইনের ছাতা কিনতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই বেশি আসছেন বলেও জানান তিনি।

নীলফামারী থেকে ছাতা কিনতে এসেছেন হাসিবুল ইসলাম। দু’ডজন ছাতা নিয়েছেন সাড়ে চার হাজার টাকায়। প্রতিটি ছাতা বিক্রি করবেন ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়।

বাজারের একটি দোকান থেকে ২২০ টাকায় ছাতা কিনে দাম কিছুটা বেশি বলে জানান কর্মজীবী গুলজার হোসেন।

এনজিও কর্মকর্তা প্রিতিন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় ব্যাগে থাকা কাগজপত্র ভিজে যাচ্ছে। তাই ২২০ টাকায় ছাতা কিনলাম’।

শহরের বিভিন্ন রাস্তায়, দোকানের সামনে ভ্রাম্যমাণ কারিগরদের কাছেও ছাতা মেরামত করতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। পেশাজীবী না হলেও টানা বর্ষণের সুবাদে ছাতা মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সোনাপুকুরের মমিনুল। মেরামতের যন্ত্রপতি নিয়ে বসেছেন শহীদ ডা. জিকরুল রোডে একটি দোকানের সামনে। একই রোডের বিভিন্ন জায়গায় বসে ছাতা মেরামত করছেন বাবুল, জহির ও শ্যামল চন্দ্র।

বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ছাতা কিনতে আসছেন খুচরা বিক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজতারা বলেন, ‘হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামতের কাজ করি আমরা। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আর ঘুরতে হচ্ছে না। যেখানেই বসছি, জটলা বাধছেন মানুষ, পুরনো ভাঙা নষ্ট ছাতা নিয়ে এসে মেরামত করছেন তারা। ছাতা মেরামত করে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করছেন তারা।

আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্র মতে, মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad