নছর আলি ভরসা ছিল নদী সংলগ্ন একটি রাস্তা। যে রাস্তা দিয়ে দু’টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।
এ কারণে সহায় সম্বলহীন নছর আলি তার একমাত্র আবাসস্থলটি (বাড়ি) যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে এ দুঃচিন্তায় তার দিন কাটছে। নছর আলির বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউপির শংকরপুর আসামি পাড়ায়। এ পাড়ার আরও পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাস। তারা সকলেই অজানা শংকায় দিন কাটাচ্ছেন।
কথা হয় আসামিপাড়ার রফিকুল ইসলাম (৩২) সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর বন্যায় নদী ভাঙনে আমাদের এই রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এবার রাস্তাটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদীর পানি যেভাবে বাড়েই চলেছে তাতে যেকোনো মুহুর্তে আমাদের ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি বিলিন হয়ে যাবে।
আসামি পাড়ার বাসিন্দা মনজু মিয়া (৫৪) বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবারের বন্যায় পানি হু-হু করে বাড়ছে। আমি এ রকম বন্যা চিত্রর আগে দেখিনি। তিনি জানান, বন্যার সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। আসামিপাড়ার পাঁচ শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কুতুবপুর ইউপির নাটারাম গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ আলি জানান, এ রাস্তাটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তাটি আজ সম্পূর্ণরুপে নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জরুরি ভিক্তিতে রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানান তিনি। কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক বাংলানিউজকে জানান, রাস্তাটি বারবার মেরামত করা হলেও নদীর কোল ঘেঁষে হওয়ায় প্রতিবছর এ রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, নদী ভাঙনে আসামিপাড়া ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল হক বাংলানিউজকে জানান, আসামি পাড়ার নদী ভাঙনের ঘটনাটি জেনেছি। চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আসামিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরি ডিউক জানান, বিষয়টি আমি জানার সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, অগাস্ট ১৪, ২০১৭
এএটি/