এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, আমন বীজতলা, কাঁচাপাকা রাস্তাসহ আবাদি জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে, পানির প্রবল চাপে ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সিংড়া, রতনপুর, বালাসীঘাটের কাইয়াঘাটসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জেলায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। কেউবা আবার রেলের জায়গা, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২০ দশমিক ৬০) ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২২ দশমিক ৩৪) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২৫ দশমিক ১৬) ও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে করতোয়ার পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক লেভেল ২০ দশমিক ১৭) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জসহ চার উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এসব পানিবন্দি মানুষ খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে নদীর পানি বেড়ে জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির এ প্রবণতা আরও তিন/চার দিন থাকতে পারে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, বন্যা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ১৪ আগস্ট, ২০১৭
আরএ