সোমবার(১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্প পরিদর্শনে এসে এ হুশিয়ারি দেন মন্ত্রী। এর আগে বেলা ১২টার দিকে মন্ত্রী যেসকল হজ এজেন্সি এখন পর্যন্ত কোনো হজযাত্রী পাঠায়নি তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিমানের ফ্লাইটে কোনো সংকট নেই। প্রতিদিন বিমান আন্ডারলোড (কম যাত্রী নিয়ে) যাচ্ছে । পর্যাপ্ত সংখ্যক প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো হজ এজেন্সি বলতে পারবে না যে, বিমানের ফ্লাইট না থাকার কারণে তাদের যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। বরং উল্টো বিমানই বলতে পারবে এবং সৌদি এয়ার লাইন্স বলতে পারবে যে তারা হজযাত্রী পাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬টি হজ এজেন্সি কোনো যাত্রী পাঠায়নি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। এতে আমি বুঝলাম, মক্কায় বাড়িভাড়া করা সংক্রান্ত বিষয়েই এমনটি হচ্ছে।
এসময় হুসিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা এই সংকটের সৃষ্টি করছেন, তারা মনে করছেন এভাবে সংকট সৃষ্টি হলে সরকারের গায়ে দায় যাবে। এজন্যই তারা এটা করছেন। সরকার নিজের গায়ে এই দায় নিয়েছে এব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু যারা এই হজযাত্রাকে বিঘ্নিত করছেন আমরা তাদের ছেড়ে দেব না। ভিসা পাওয়ার পর হজযাত্রী না পাঠালে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
এসময় মন্ত্রী হজক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং হজযাত্রীদের খোঁজ খবর নেন।
উল্লেখ্য, পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না পাওয়ায় রোববার(১৩ আগস্ট)পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইনসের ২৭টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে বিমানের বিপুল আর্থিক ক্ষতি যেমন হয়েছে তেমনি হজ গমনেচ্ছুদেরও পড়তে হয়েছে অন্তহীন অনিশ্চয়তা ও দুর্ভোগে। এর পাশাপাশি বিমানের ভাবমূর্তিরও ক্ষতি হয়েছে অনেক।
বাংলাদেশ সময়:১৪০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এসআইজে/জেএম