সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৩১ সেন্টিমিটার। যেখানে স্বাভাবিক প্রবাহ ১৩.৩৫ সেন্টিমিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার যমুনার পানি বৃদ্ধির তীব্রতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৬ সালের বন্যায় সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি সর্বোচ্চ ১৪.২৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল। আর এ বছর জুলাই মাসের প্রথম বন্যায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে সর্বোচ্চ ১৪.১৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়। যেটা ছিল বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপরে। অথচ চলতি মাসে দ্বিতীয় দফার বন্যায় তিনদিনের মধ্যেই ১৪.৩১ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে যা বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপরে এবং গত বন্যার চেয়ে ১৭ সেন্টিমিটার বেশি। এসব কারণে এবার জেলায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বাংলানিউজকে জানান, আরও দুয়েকদিন পানি বাড়তে পারে। যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য জেলার সব নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে আমরা ৫টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এসব এলাকার কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার সার্বিক তথ্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বন্যা মোকাবেলায় জেলায় ১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে ৮ লাখা টাকা মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ১৪ আগস্ট, ২০১৭
আরএ