রোববার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত পূর্ণভবা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৮ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকালে ৭৭ সেন্টিমিটার এবং বিকেলে ৮০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ছিল।
সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কোনও কিছু বোঝে উঠার আগেই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো থেকে ঘর-বাড়ির আসবাবপত্র গৃহপালিত পশুসহ বিভিন্ন মালামাল বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার খবর আসছে।
দিবাগত রাত ১২টার পর শহর ও আশপাশের আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্য ঈদগাহ, পুলিশ লাইন, বিজিবি ক্যাম্প মিশন রোড, জোড়া ব্রিজ, পশু হাসপাতাল মোড়, বালুবাড়ি শহীদ মিনার মোড়, খালপাড়া, আউলিয়াপুর, তরিমপুর, ঘুঘুডাঙ্গা, গসাইপুর, মাসিমপুর, শিকদারগঞ্জ, রাজবাড়ি, শেরশাহ মোড়, জোগেন বাবুর মাঠসহ বিভিন্ন এলাকা রয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলায় ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় লক্ষাধিক বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ ছাড়াও মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যা দুর্গত মানুষদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘন্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এমইউএম/আরবি/