ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জুলাই মাসে খুলনায় ৭ খুন, সাত ধর্ষণ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
জুলাই মাসে খুলনায় ৭ খুন, সাত ধর্ষণ! আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক

খুলনা: খুলনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর ও লোমহর্ষক অপরাধ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। শুধু জুলাই মাসেই ৭টি খুন ও ৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাস-নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির মাসিক সভায় এই নেতিবাচক তথ্য জানানো হয়।

সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, খুলনা মহানগরের আটটি থানায় চলতি বছরের জুলাই মাসে ডাকাতি ১টি, রাহাজানি ১টি, চুরি ৮টি, অস্ত্র আইন ২টি, দ্রুত বিচারে ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৯টি, নারী ও শিশুপাচারের ১টি, মাদকদ্রব্যের ১৬৯টি এবং অন্যান্য ৪০টিসহ মোট ২৪৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ২২২টি।

জেলার নয়টি থানায় জুলাই মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৪টি, অস্ত্রআইনে ৩টি, দ্রুত বিচার ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৪০টি, নারী ও শিশু পাচার ৪টি ও মাদকদ্রব্য ৬৮টি এবং অন্যান্য আইনে ৯৩টিসহ মোট ২২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। গত জুন মাসে এ সংখ্যা ছিল ২৩৭টি।

খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিন উল আহসান।

সভায় র‌্যাব এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি মাসে অন্তত একটি গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

খুলনা মহানগরে যানজট নিরসনে ফিটনেসহীন পরিবহন, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কেএমপি, সিটি করপোরেশন ও বিআরটি’র পক্ষ থেকে জুলাই মাসে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা মহানগরীর যানজট নিরসনের উদ্যোগ হিসেবে পিকচার প্যালেস মোড় থেকে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত রাস্তর দু’পাশে অবৈধ হকারদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা ও মহানগরে মাদকদ্রব্যের অভিযান বিষয়ক আলোচনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই মাসে ২২জন আসামির বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৬টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এসবের মধ্যে ৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং অপর ৩জনকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসময় কমিটির একজন সদস্য খুলনার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত করে যশোর জেলার মতো তা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের প্রস্তাব করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহানগরীর ক্লাবগুলোতে ক্রীড়াচর্চার বাইরে মাদকের মতো অনৈতিক কার্যক্রম যাতে না চলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি ক্রীড়াচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে সাংস্কৃতিক কাজে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানান।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে যেখানে-সেখানে গরুর হাট বসতে না দেয়ার এবং কোরবানির পর দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্য সদস্যগণ অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়:১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমআরএম/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।