ফলে শহরে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে সৈয়দপুর সেনানিবাস শহরের কুন্দল, পাটোয়ারীপাড়া, নয়াবাজার, সুড়কিমিল, কাজীপাড়া, হাতিখানা, নতুন বাবুপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, বাঁশবাড়ি মহল্লায় হু হু করে পানি ঢুকেছে। ওইসব এলাকার কোথাও কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।
শহরের উত্তর দিকে বসুনিয়াপাড়া এলাকাতেও শহর রক্ষা বাঁধটি ভেঙে গেছে। ফলে ওই এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।
বাঁধ ভাঙার কথা স্বীকার করে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, এমনিতেই কয়েকদিনের বর্ষণে শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। তার উপর শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেনানিবাস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পানি ঢুকে পড়েছে। তাৎক্ষণিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও যেকোনো সময় বন্যার পানি ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) শহীদুল ইসলাম বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের দুইটি স্থানে প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙনরোধে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পৌরসভা, সেনাবাহিনীসহ সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রশীদ জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কাশিরাম ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার বন্যার্তদের মাঝে খিচুরি বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউসুফ ডেইরি ফার্মের মালিক জামিল আশরাফ মিন্টু ৭০০ বন্যার্ত লোকের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট, ২০১৭
আরএ