ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা নয়, কলকাতা-লন্ডনেও জলাবদ্ধতা হয়: সাঈদ খোকন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
ঢাকা নয়, কলকাতা-লন্ডনেও জলাবদ্ধতা হয়: সাঈদ খোকন ঢাকা কেন কলকাতা-লন্ডনেও জলাবদ্ধতা হয়/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। ঢাকা কেন কলকাতা থেকে শুরু করে লন্ডনেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তুষারপাতে পশ্চিমা দেশগুলোয় সাতদিন ধরে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিএসসিসি আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনের আগে সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার (১৩ আগস্ট) তিনি এসব কথা বলেন।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ডিএসসিসি’র ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সহযোগিতায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।


 
মেয়র বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এটি একটি কঠিন সমস্যা। ড্রেনে ডাবের খোসা, ময়লা আর্বজনা আটকে থাকে, বন্ধ হয়ে যায়। এগুলো যায় বক্স কালভার্টে, সেখান থেকে যায় খাল-নদীতে, ফলে সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে। কাজেই ৩০-৪০ বছরের অব্যবস্থাপনা ৩০-৪০দিনে দূর করা সম্ভব নয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
 
সাঈদ খোকন বলেন, প্রকৃতির ওপর হাত নেই। এই অব্যবস্থাপনার ভেতর যদি একদিনে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, সেটা মোকাবেল করা কঠিন। লন্ডনে, কলকাতাতেও বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিটুমিন খুলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে বৃষ্টিপাত কমুক। কথা দিচ্ছি, একযোগে ডিএসসিসি’র সব রাস্তার কাজ করা হবে।
 
তিনি আরো বলেন, চিকুনগুনিয়া রোধে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। প্রতি ওয়ার্ডে পাঁচজন লোকবল এখনো নিয়োজিত রয়েছেন। আমাদের কলসেন্টার আছে। কেউ ফোন করে সহায়তা চাইলে আমাদের ডাক্তার বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসা করছেন। এটা অব্যাহত রয়েছে।
 
ডিএসসিসি’র মেয়র বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার এখন ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা পৃথিবীতে দ্বিতীয়। আজ আমেরিকার ফার্মেসিগুলোতে গিয়ে দেখুন, ওষুধের গায়ে লেখা- মেইড ইন বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরে গেলে দেখবেন, জুতোর গায়ে লেখা- মেইড ইন বাংলাদেশ। আর আমরা বস্ত্র রফতানিকারক হিসেবে পৃথিবীতে তৃতীয়। কাজেই দেশ এগিয়ে চলছে।
 
তিনি আরো বলেন, এক সময় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হতো। এখন আর নেই। তবে চাহিদাও বেড়েছে। কেননা, গ্রামের মানুষেরও এখন ওভেন রয়েছে, এসি, টিভি রয়েছে। রাইস কুকার রয়েছে। কাজেই মানুষের সক্ষমতা বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। তবে বর্তমান সরকার উৎপাদনও বাড়িয়েছে। বর্তমানে ১৪-১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদাপদন হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, তা তার যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনসহ ডিএসসিসি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।