রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে শহর রক্ষা বাঁধে এ ফাটলের ঘটনা ঘটে। এলাকার লোকজন কলা গাছ ও বালুর বস্তা দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফাটল ঠেকাতে।
এছাড়াও শহর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ দিয়ে পানি হু-হু করে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বাঁধ সংলগ্ন মুন্সিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা শাহ্ আলম বাংলানিউজকে জানান, ভোরে শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো লোক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেনি। এ বাঁধটি ভেঙে গেলে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
এদিকে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে পানি তলিয়ে যাওয়ায় তারা আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কয়েকদিন আগেই লাগানো আমন ধানের চারা এখন পানির নিচে।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, যদি পানি পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে নেমে যায় তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি হবে না। পানি না নামলে নষ্ট হয়ে যাবে আমনের আবাদ। বন্যায় কাঁচা শাক-সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে কাঁচামালের দাম হু-হু করে বাড়ছে।
সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উপজেলার মাছ চাষিদের। তাদের পুকুর ও বিলের সব মাছ বের হয়ে গেছে। মৎস্য অফিস বলছে, পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন করা সম্ভব নয়।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুল হক শহর রক্ষা বাঁধ ফাটলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, মেয়র মহোদয় ও পিআইও’কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে লোকজন ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, অগাস্ট ১৩, ২০১৭
এএটি/