ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মালিকদের না পাওয়ায় নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
মালিকদের না পাওয়ায় নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না সচিবালয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন তথ্যমন্ত্রী- ছবি: বাংলানউজ

ঢাকা: সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মালিকদের প্রতিনিধি না পাওয়ায় গঠন করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেছেন, মালিকরা যদি প্রতিনিধি না দেন তাহলে এক তরফা মজুরি বোর্ড ঘোষণা করব কিনা- এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে মালিকদের প্রতিনিধি পাওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।


 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
 
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে গেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারই কণ্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে একটি ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন যাতে বিপদে আপদে আর্থিক সুরক্ষা পায়।
 
চৌহাত্তর সালের আইনের ফলে সাংবাদিকরা বেতন কাঠামোর সুযোগ পেয়েছে জানিয়ে ইনু বলেন, মালিক ও সাংবাদিক পক্ষ আলোচনার মধ্য দিয়ে ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত করে। সেটা বাস্তবায়নের জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
 
পাঁচ বছর অন্তর ওয়েজবোর্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে জানিয়ে ইনু বলেন, দেশের রাজনীতির উথান-পতনে বহু রকম ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ফলে সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে একটি ওয়েজবোর্ড গঠনে সক্ষম হই, আগামী ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পূর্তি হবে। পাঁচ বছর পরে যাতে গণমাধ্যম কর্মীরা নবম ওয়েজবোর্ডের সুযোগ পায় সেজন্য তারা দাবি উত্থাপন করেছিলেন।
 
ইনু বলেন, দাবি উন্থাপনের সাথে সাথে এর ন্যায্যতা স্বীকার করেছি এবং এটাও বুঝেছি এখন থেকে কাজ শুর করতে পারলে আঠারো সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েজবোর্ড গঠন করে সাংবাদিক বন্ধুদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। সেজন্য দাবি উত্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওয়েজবোর্ড গঠনের কাজ শুরু করি।  
 
প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং যত্নশীল উল্লেখ করে ইনু বলেন, উনিও আমাকে প্রশাসনিকভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন যাতে ওয়েজবোর্ড গঠনের কাজে হাত দেই। সাংবাদিক ও কর্মচারী বন্ধুদের সঙ্গে আমরা একাধিকবার বসেছি। ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রশ্নে কোনো লুকোছাপার অবস্থান নাই। সাংবাদিক ও কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মত এক, আমরা একমতে আছি। আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ নই। একে অপরের শত্রুও নই।
 
‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে মজুরি বোর্ড গঠনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিজামুল হক এবং সাংবাদিক, কর্মচারী ও মালিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে ওয়েজবোর্ড গঠনের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। মালিকদের প্রতিনিধি আমরা পাইনি। মালিকদের তাগাদা দিচ্ছি প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। আশা করছি মালিকরা প্রতিনিধি দেবেন। মালিকদের প্রতিনিধি পেলেই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করে দেব।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে, ওয়েজবোর্ডের প্রধান নিয়োগ দিয়েছে, সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় ওয়েজবোর্ডের বিরুদ্ধে- একথাটা সঠিক নয়। আমরা পক্ষেই আছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মালিকরা যদি প্রতিনিধি না দেন তাহলে এক তরফা মজুরি বোর্ড ঘোষণা করব কিনা- এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি সাংবাদিক ভাই-বোনদের মঙ্গল চাই, তারা যাতে ওয়েজবোর্ডের সুযোগটা পায়। সেজন্য এই প্রশ্নের সম্মুখীন যদি আমরা হই, তাহলে সেখানে আমি মনে করি বিএফইউজে, ডিইউজের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা এবং সবশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে, যে এই রকম এক তরফা ওয়েজবোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা উপকার পাবেন কি পাবেন না?
 
নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের রাস্তায় মিছিল করার দরকার নেই। আপনারা শান্ত হউন এবং ধৈর্য ধরুন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। ইনশাআল্লাহ ওয়েজবোর্ড বাংলাদেশে হবে। ২০১৩ সালের ওয়েজবোর্ড তো দিয়েছি আমরা। আবারও ওয়েজবোর্ড পাবেন। পাঁচ বছর পূরণ হওয়ার আগে ওয়েজবোর্ড ঘোষণা হবে এবং বাস্তবায়নের পথে চলে যাবে।
 
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসির উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭/আপডেট ১৫২৯ 
এমআইএইচ/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad