কিন্তু দক্ষিণের এই বিভাগের ৬ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে একমাত্র মহাসড়কটির বেহাল দশা যেন কাটছেই না। সংস্কারের পরও প্রায় প্রতিবছরই সড়কটি বর্ষার সময়ে ছোট-ছোট গর্তে ও খানাখন্দে ভরে যায়।
ভূরঘাটা থেকে বরিশাল শহরের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার মহাসড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ পৌঁছে গেছে চরমে। ভাঙা রাস্তায় যানবাহনের ভেতরে বসে থাকাটা যেমন দায়, তেমনি আবার শুকনোতে ধুলো, আর বর্ষায় গর্তে জমে থাকা কাদাপানিতে সড়ক দিয়ে হাঁটাচলাও মুশকিল। পাশাপাশি ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনাও।
আর এমন দুর্ভোগ শুধু ভূরঘাটা-বরিশাল নয়, বরিশাল থেকে জেলা সীমান্ত লেবুখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কেও রয়েছে খানাখন্দ।
ফলে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পিরোজপুর জেলার যেখানেই যেতে হোক না কেন দুর্ভোগের রাস্তা পার হতেই হবে।
প্রায় ৩ মাস ধরে এ নিয়ে চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
মাহিলারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মতিলাল বিশ্বাস বলেন, ৬/৭ মাস আগে সড়ক পাশ দিয়ে কেটে বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হয়। সে কাজ শেষ হতে না হতেই আগের মূল রাস্তার অংশ গর্ত আর খানাখন্দে ভরে যায়। প্রায় ৩ মাস ধরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ভূরঘাটা থেকে বরিশাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি। যানবাহনে চড়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাটা মুশকিলের।
এ রুটের ট্রাকের চালক সেলিম মিয়া বলেন, রাস্তার এমন অবস্থা, গাড়িতে মালামাল বোঝাই থাকলে গন্তব্যে যেতে হলে নানা জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক জায়গায় গর্ত হওয়ায় গাড়ির চাকা পড়ে আটকে দুর্ঘটনাও ঘটছে। বড় গর্তগুলোতে ইট দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
বরিশাল থেকে পটুয়াখালী রুটের নিয়মিত যাত্রী আরিফুর রহমান জানান, বরিশাল থেকে বাকেরেগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত খানাখন্দ ও গর্ত রয়েছে। তবে এগুলোর থেকে কয়েকগুণ বেশি ভোগায় বাকেরগঞ্জের বেইলি ব্রিজ থেকে লেবুখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত। আর পটুয়াখালী সড়কে কলাপাড়ার পাখিমাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কেরও একই অবস্থা।
এ রুটের বাস চালকরা বলছেন, পটুয়াখালী জেলা সড়ক বিভাগের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা অল্পদিনেই মেরামত করে দেওয়া হয়। কিন্তু বরিশাল অংশের ভাঙা সড়ক মেরামত করতে সময় লাগে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভূরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে প্রশস্তকরণ এবং ওভার লে (পুরনো রাস্তার উপর আস্তরণ) করার জন্য কয়েক মাস আগে টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদার কাজও শুরু করেছে। তবে বর্ষার কারণে সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমএস/আরআর