ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বিপদসীমার উপরে ১৪ নদীর পানি, ভারী বৃষ্টি আরও একদিন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
বিপদসীমার উপরে ১৪ নদীর পানি, ভারী বৃষ্টি আরও একদিন বিপদসীমার উপরে ১৪ নদীর পানি, ভারী বৃষ্টি আরও একদিন (ফাইল ছবি)

ঢাকা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব অংশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। 

এদিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী দু’দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার আশঙ্কায় আরও তিনদিন পানি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

 
 
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান রোববার (১৩ আগস্ট) জানান, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি আরও তিনদিন বাড়বে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নদ-নদীর ৯০টি পর্যবেক্ষণাধীন স্টেশনের মধ্যে শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৯টায় ১৭টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকাল নাগাদ ২২টিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিলো।  

বিপদসীমার উপরে ১৪ নদীর পানি (ফাইল ছবি)
এরমধ্যে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার (সে.মি.), ডালিয়ায় তিস্তার পানি ১৩ সে.মি, বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরীর পানি ৪৯ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
যমুনা নদীর পানি বাহাদুরবাদে বিপদসীমার ১৬ সে.মি, সারিয়াকান্দিতে ২ সে.মি, কাজীপুরে ৩ সে.মি ও সিরাজগঞ্জে ২৫ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

করতোয়া নদীর পানি পঞ্চগড়ে বিপদসীমার ৪ সে.মি, টাঙ্গন নদীল পানি ঠাকুরগাঁওয়ে ৮১ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

খুলনায় পশুর নদীল পানি বিপদসীশার ৯ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
এদিকে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ১১৬ সে.মি, সিলেটে ১৬ সে.মি, সুনামগঞ্জে ৭৭ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসিদে বিপদসীমার ২৬ সে.মি এবং সিওলায় ৩৫ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  
ভারী বৃষ্টি আরও একদিন (ফাইল ছবি)
মনু নদীর পানি মনু রেলব্রিজে বিপদসীমার ৮০ সে.মি, মৌলভীবাজারে ২০ সে.মি, খোয়াই নদীর পানি বাল্লায় ১শ’ সে.মি, হবিগঞ্জে ২শ’ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

নাকুগাঁওয়ে ভুগাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৪১ সে.মি, দূর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর পানি ১৩৭ সে.মি, জারিয়াঞ্জালে কংস নদীল পানি ১৫০ সে.মির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।  

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দু’দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে আগামী পাঁচদিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমতে থাকবে।

তবে উজানে বৃষ্টি কমা শুরু হলে তার একদিন পরে পানি কমা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআর

** দিনাজপুরে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
** পার্বতীপুর-দিনাজপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।