শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকের এ ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালের নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্তব্যরত নার্সরা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার অসুস্থ বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ আটক করলে দুপুরের পর নার্সরা কাজে যোগ দেন। এ সময় রামেক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক হিমেল রামেক হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তার বাবা সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে দেখতে যান। এ সময় তিনি দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের কাছে বাবার চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে যান।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ফেরদৌসি খাতুন নামের এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের ওপর চড়াও হিমেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নার্স হিমেলের গালে চড় দেন। এসময় হিমেল আরও উত্তেজিত হয়ে ফেরদৌসি খাতুনকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পরে বিছানা থেকে উঠে এসে হিমেলের বাবা ফেরদৌসি খাতুনকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। তিনি ওই নার্সের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন রামেক হাসপাতালে কর্তব্যরত একাধিক সিনিয়র স্টাফ নার্স।
ঘটনার পর হাসপাতালের সব নার্সরা কাজ ফেলে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বেলা ১১টার দিকে নার্সরা তার সঙ্গে দেখা করে সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি খাতুনকে মারপিট ও অশ্লীল আচরণের বিচার দাবি করেন।
তিনি নার্সদের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করলে দুপুরের পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আবারও স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এসএস/জিপি