ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারী বর্ষণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
ভারী বর্ষণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ভারী বর্ষণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত- ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: টানা দু’দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

শনিবার (১২ আগষ্ট) সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জেলা শহরের পাবলিক হেলথ, কেইল্যামুড়া, জালিয়া পাড়া, চক্রপাড়া, ইসলামপুর, শরীয়তপুর, রসূলপুর, বন্ধুকভাঙ্গা এবং শান্তিনগর এলাকা ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা ও  পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলও ব্যাপকভাবে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার মারিশ্যা, আমতলী, পর্যটন নগরী সাজেক ইউনিয়ন, রূপকারী, বাঘাইহাট, সারোয়াতলী এবং ক্ষেদারমারা এলাকা উল্লেখযোগ্য।

প্রবল বর্ষণের ফলে বাঘাইহাট থেকে সাজেক সড়কের পাঁচটি জায়গায় ব্যাপক পাহাড় ধস হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৪০ কর্মী কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, বাঘাইহাট জোনের সেনা কর্মকর্তারা  বাঘাইহাট এলাকার ১৪০টি পরিবারের মাঝে খাবার সরবরাহ করেছে। এছাড়া সড়ক পথে পাহাড় ধসের কারণে পর্যটন নগরী সাজেক ইউনিয়নে ১১০টি গাড়ি আটকা পড়েছে।

লংগদু উপজেলার চাইল্যাতলী, বৈরাগী বাজার, ফোরের মুখ, ভাসাইন্যাদাম এর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বরকল উপজেলার ছোট হরিণা, গোরস্থান, নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট, ইসলামপুর এবং নানিয়ারচর উপজেলা সদরের আশেপাশের এলাকা। বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া, কেংড়াছড়ি, দীঘলছড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে হ্রদের পানি এই আকস্মিক বৃদ্ধির কারণে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঝুঁকি কমাতে দুই ফুট উচ্চতায় ১৬টি স্পিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ৩৬ হাজার কিউসেক পানি।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুই ফিট উচ্চতার ১৬টি স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট দিয়ে বর্তমানে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড় ধস ও কাদা মিশ্রিত পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। তলদেশ ভরাট হওয়ায়  হ্রদ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। তাদেরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার।

সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান ডিসি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
জিপি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।