তবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিকের ব্যবহার রোধে খামারিদের ওপর কড়া নজরদারি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ খামারি রয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি খামারে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় লোকজনের তদারকিতে প্রাকৃতিক ঘাস, খড়, খৈল ও ভুষি খাইয়ে পশুগুলোকে মোটা-তাজা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এগুলো চাঁদপুরের কোরবানির পশুর সিংহভাগ চাহিদা মেটাবে। সরেজমিনে গেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা গ্রামের মির্জা ডেইরি ফার্মের মালিক জলিলুর রহমান দুলাল মির্জা জানান, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৭ সালে মাত্র একটি গাভি নিয়ে ডেইরি ফার্মটি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার ফার্মে ২৬টি বিদেশি গাভি ও ৫০টি ষাঁড় মোটা-তাজা করা হচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানি এলে ৫০ থেকে ৬০টি গরু মোটা-তাজা করে বিক্রি করা হয়। এতে বছরে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। হাঁস-মুরগি পালন ও মাছের চাষ করে আরও আয় হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জুলফিকার আলী জানান, এ উপজেলায় প্রায় ২০০ খামারি গরু-ছাগল মোটা-তাজা করছেন। কোথাও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে খামারিদের নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এএসআর