ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দিনাজপুরে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
দিনাজপুরে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দিনাজপুরে দুইদিনের বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

দিনাজপুর: গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতে দিনাজপুর জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে চলতি আমন মৌসুমের শত শত একর ফসলি ক্ষেত।

জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে শহরেও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

এছাড়া গত দুইদিনে জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।

এতে ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকা।

টানা বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও কর্মজীবী মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, সবেমাত্র কদিন আগে চলতি মৌসুমের আমন ধানের বীজ রোপন করেছে কৃষক। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে শত শত একর আমনের জমি।    

পানি বাড়ার কারণে পূর্ণভবা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা এলাকার কৃষক মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে সদ্য রোপণকৃত ফসলি ক্ষেত। এতে চলতি মৌসুমের আমন চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দিনাজপুর বিরল উপজেলার চকেরহাট এলাকার মৎস্যচাষি মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির পানিতে শত শত পুকুর ও ঘেরের কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। অনেক মৎস্যচাষি বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা নিয়েছে। এই ক্ষতির কারণে তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই মৎস্য চাষী।

দিনাজপুর শহরের পূর্ণভবা নদী সংলগ্ন চাউলিয়াপট্টি সাধুরঘাট এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মো. শাকিল

বাংলানিউজকে জানান, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির পানিতে রাস্তা-ঘাটসহ বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে দুই দিন থেকে কাজে যেতে পারছেন না তারা। সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতাও পাননি বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ইউএনও।

গত দুই দিনে ২১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান, দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘন্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad