এভাবেই পাল্টে গেছে হাওরবাসীর জীবনধারা। পেশার ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।
জেলা, উপজেলা ও শহরতলীর এলাকাগুলো বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মাঝেও চলছে মাছ ধরার হিড়িক। অপেশাদার এসব জেলের কাছেও জালের চেয়ে ফাঁদের চাহিদাই বেশি।
সরেজমিনে খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শতাধিক পরিবারের গৃহকর্তা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ফাঁদ তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাওরাঞ্চল থেকে ফাঁদ কিনে নিয়ে স্থানীয় বাজারগুলোতে কিছুটা লাভে বিক্রি করছেন। বাঁশের শলা ও প্লাস্টিকে তৈরি বিভিন্ন আকার-আকৃতির ওইসব ফাঁদ ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারো কারো মতে, এ দুঃসময়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ পরিবারের কোনো সদস্যেরই বেকার বসে থাকার সুযোগ নেই। নারীরা ঘরের যাবতীয় কাজ ও রান্না-বান্না এবং শিশুরা পড়াশোনা শেষে ফাঁদ তৈরি করছেন। ফসল হারিয়ে ক্ষতি যা হয়েছে, তা পোষানো সম্ভব নয়। তবে ফাঁদ তৈরি করে কোনোমতে জীবন চলছে তাদের।
আর এ কর্মব্যস্ততাই হাওরবাসীর ঘুরে দাঁড়ানোর একটি চেষ্টা...।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এএসআর