সংস্কার কাজের সুবিধার্থে শনিবার (১২ আগস্ট) রাত ৮ টা থেকে রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০ টা পর্যন্ত প্রায় ১৫ ঘণ্টা সেতুটির উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
** মহাসড়কের মহাস্থান সেতুতে ফাটলে বিঘ্নিত ৯ জেলার যোগাযোগ
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সেতুর চারটি পাটাতনের মধ্যে মাঝেরটি দেবে যাওয়ায় সেতুটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এতে ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুটি। সেতুর কমপক্ষে ৪০ ফুট অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে সেতুর ক্ষতিগ্রস্তসহ ৬০ ফুট অংশে বেইলি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সেই কাজ চলছে।
কিন্তু সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচলের কারণে সংস্কার কাজে সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে সেতুর উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামন। এর আগে, বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মহাস্থানের হাতিবান্ধা নামক স্থানে অবস্থিত উক্ত সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। এতে সারাদেশের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের নয় জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাস ও হালকা যানবাহন ধীরগতিতে সেতু পার হলেও ভারি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
ফলে মহাস্থান-শিবগঞ্জ সড়ক হয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটারের মতো পথ ঘুরে এ সব যানবাহনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় যাতায়াতকারী যানগুলোকে বাড়তি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।
এদিকে ১৯৫৮ সালে করতোয়া নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজারের মতো বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার করতো এ সেতুটির উপর দিয়ে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো এ সেতুর মাঝের গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাস ও হালকা যানগুলো একটা একটা করে পার করে দেওয়া হচ্ছে। ভারি যান ও মালবাহী ট্রাক বিকল্প পথ হিসেবে মহাস্থান-শিবগঞ্জ সড়কটি ব্যবহার করছে। ঢাকা থেকে ব্রিজ ডিজাইন ইউনিটের দু’জন বিশেষজ্ঞ সেতুটি পরিদর্শন করেছেন ইতোমধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআইএস