শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলানিউজকে জানান, টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, ‘সামন্ত শিশুটির হাতটি কী রাখা যাবে না?’ তখন আমি উত্তর দেই, ‘আপনি দোয়া করবেন।
ডা. সামন্ত জানান, দু’ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে অক্ষত রেখেই মুক্তামনির ডান হাত থেকে প্রায় তিন কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে জ্ঞান ফিরে এসেছে শিশুটির। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
মুক্তামনির ডান হাতে প্রথমে টিউমারের মতো হয়। ছয় বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! সাদা রঙের শত শত পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ফুলে যাওয়া অংশে। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। এরপর হাতে পচন ধরে। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। সে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।
এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে এলে গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত ০৫ আগস্ট প্রথম দফায় বায়োপসি অপারেশন করে জানতে পারেন, রক্তনালীতে টিউমার বা ‘হেমানজিওমা’ রোগে আক্রান্ত শিশুটি। এরপর ডান হাতটি কেটে ফেলার ঝুঁকি থাকলেও সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এজেডএস/এএটি/আইএ/এএসআর
মুক্তামনির খোঁজ-খবর নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাত রেখেই মুক্তামনির দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার সম্পন্ন