তিস্তা ব্যারাজের উপ-সহকারী (পানি পরিমাপক) প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৩৯ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের কাকিনা, তুষভাণ্ডার, আদিতমারীর মহিষখোচা, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন তিস্তা নদী বিধৌত হওয়ায় কিছু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না এলাকার বাদল হোসেন ও মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর আশপাশের লোকজনের বাড়িতে পানি ঢুকে বন্যা দেখা দিয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মজিত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তার এলাকায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দিদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণের দাবি জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার ফেরদৌস আলম বাংলানিউজকে জানান, প্লাবিত তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চলের জনপদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বন্যার তথ্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির খোঁজ রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এনটি