একইসঙ্গে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত হেলাল উপজেলার আগমুরশন গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-হেলালের মা হেলেনা বেগম (৪৫) ও একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মিলন হোসেন এবং মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৪)। নিহত খান জাহান একই গ্রামের তালেব আলীর ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে শিশু খান জাহানকে খাবার খাইয়ে তারা বাবা-মা কাজের উদ্দেশে বাইরে চলে যান। তারা দুপুরে বাড়িতে ফিরে খান জাহানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরেরদিন (১৪ জানুয়ারি) সকালে জামাই হেলালের এলাকায় একটি টিনের চালার নিচে বস্তাবন্দি অবস্থায় খান জাহানকে পাওয়া যায়।
এসময় তার বাবা-মা ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে শিশু খান জাহানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা তালেব আলী বাদী হয়ে হেলালসহ চারজনকে আসামি করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীব ছিলেন অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন বাদল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭/আপডেট:১৪৩০
এসআই/আরএ