দু’একদিনের মধ্যে ১০টি ডাবল ডেকার বাস বহর চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে সড়কপথে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। এরপর আগামী ১৮, ১৯ বা ২০ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একযোগে এ ১০টি বাসের উদ্বোধন করবেন।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
ঢাকায় বর্তমানে বিআরটিসির ডাবল ডেকার সিটি বাস চলাচল করে। কিন্তু দূরপাল্লার রুটে বিলাসবহুল ডাবল ডেকার বাসের আগমন দেশে এটাই প্রথম। গ্রিন লাইন পরিবহন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের জন্য বাসগুলো নিয়ে এসেছে।
রোববার (০৬ আগস্ট) রাতে গ্রিন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ২০ আগস্ট থেকে ডাবল ডেকার সব বাস ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী সেবায় নামবে। ৪০ আসনের এসব বাসে ‘বিজনেস ক্লাস’ সেবা থাকবে। প্রতি সিটের ভাড়া হবে ১৩০০ টাকা। একপাশে ২টি, অন্যপাশে ১টি করে আসন বিন্যাস করা আছে।
৪৬০ হর্সপাওয়ারের ৮ চাকার ‘মাল্টি এক্সেল’ বাসগুলোর নিচতলায় থাকছে ৭টি আসন এবং দ্বিতীয়তলায় বাকি ৩৩ আসন। গতিসীমা ১০০ এর মধ্যে রেখে বাস গুলো চালানো হবে বলে জানান আব্দুস সাত্তার।
বাংলানিউজকে তিনি আরও বলেন, সুইডেন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের এবং ব্যাংককে এরকম বাস সচরাচর দেখা যায়। ইদানিং মায়ানমারে চলা শুরু হয়েছে। আর বাংলাদেশে ডাবল ডেকারের এটাই প্রথম আগমন।
‘৫ রঙের ১০টি বাসের মধ্যে ২টি আকাশী নীল, ২টি লাল, ২টি সাদা, ২টি কমলা ও ২টি গাঢ় নীল রঙের বাস। ’
ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনে উন্নীত হওয়ায় অত্যাধুনিক এসব বাস পরিবহন সেবায় নিয়ে আসছে গ্রিন লাইন। পরে আরও বাস আসবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
২০০০ সালে চালু হয় গ্রিনলাইন পরিবহন। ভলভো, স্ক্যানিয়ার মতো নামি বাস কোম্পানির তৈরি আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের মাধ্যমে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, যশোর, বেনাপোলসহ বিভিন্ন রুটে বিলাসবহুল যাত্রী সেবা দিয়ে চলেছে এ পরিবহন সংস্থাটি।
নৌপথেও ঢাকা-বরিশাল দ্রুত গতির লঞ্চ পরিচালনা করে গ্রিনলাইন। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যায় তাদের বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ। আর সড়কপথে রয়েছে প্রায় ২০০’র মতো গাড়ি। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একমাত্র গ্রিন লাইন চালাচ্ছে স্লিপার কোচ। গ্রিন লাইন বাসের টিকিট কার্যক্রম পুরোটাই কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে করা হয়। অনলাইনেও টিকেটিং সুবিধা চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
এসএ/এসএইচ