ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার। ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল(যশোর): ঘড়ির কাটায় রাত ৯ টা। এপার বেনাপোল চেকপোস্ট ও ওপার ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট। দুই দেশের মধ্যে চলছে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি, রফতানি বাণিজ্য। এতে উভয় দেশের মধ্যে আসা,যাওয়া করছে ভারতীয় ট্রাক চালক ও বাণিজ্যের সঙ্গে সংশিষ্টরা। কিন্তু দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ন ভিন্ন।

ওপারে ভারত প্রবেশ দ্বারে অস্ত্রো হাতে কড়া প্রহারা সীমান্তরক্ষী বিএসএফের। এছাড়া পরিচয় পত্র ব্যবহার করে যাতায়াতকারী মানুষের তদারকিতে টেবিল, চেয়ার, খাতা, কলম নিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় পুলিশ ও কাস্টমস সদস্যরা।

আর এপার বাংলাদেশের দুটি প্রবেশ দ্বার খোলা থাকলেও দেখা পাওয়া যায়নি কোনো কাস্টমস, বিজিবি কিংবা পুলিশের নজরদারী। নেই কোনো খাতা কলমের কার্যক্রম। বলতে গেলে সম্পূর্ন নিরাপত্তাহীন অবস্থা। এতে কোনো রকম কৈফিয়ত ছাড়াই দুই দেশের মধ্যে আসা, যাওয়া করছে মানুষ।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শুধু এখন না দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার গেট দুটিতে।

নিরাপত্তা এ হাল দেখে সাধারণ মানুষ অবাক হলেও প্রশাসনের যেন কারো কোনো দায়ভার নেই। এতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে দেশের। একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে রক্ষা সবাই। বেনাপোল সীমান্তে অরক্ষিত বাংলাদেশ প্রবেশ দ্বার।  ছবি: বাংলানিউজস্থানীয়রা মনে করছেন গুরুত্বপূর্ণ এ গেটটিতে সার্বক্ষণিক ভারতীয় প্রবেশ দ্বারের মতো প্রশাসনিক নজরদারী দরকার।

জানা যায়, বাণিজ্যে গতিশীলতা ফেরাতে গত ০১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সপ্তাহে ৭দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা হলেও কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। ফলে প্রধান ফটক দিয়ে চোরাচালান ও পাচারের ভয় রয়েছে।
 
রাত ৯ টায় ভারত থেকে আসা ৪ জন ও বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া ৬ জনের সঙ্গে কথা বলা হলে তারা বলেন, আমদানি পণ্য খালাসের কাজে আসা-যাওয়া করছে। ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডের বিজিবি ক্যাম্পের পেছনে নারীরা।  ছবি: বাংলানিউজভারত অংশে তাদের পরিচয় পত্র দেখিয়ে ও নাম এন্টি করে আসতে হয়েছে।

বাংলাদেশে ঢোকার সময় গেটে কাউকে পায়নি। তাই কাউকে কিছু দেখাতে হয়নি। এমনি ঢুকে পড়েছি

কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল ছোবহান বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় বাংলানিউজকে জানান, তিনি আমদানির বিষয়টি শুধু দেখেন। গেটের বিষয়ে কিছু জানেন না।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ বলেন, তারা সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত শুধু ওই গেটে থাকেন। রাতের নিরাপত্তা দায়িত্ব অন্যদের। ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় নারীরা।  ছবি: বাংলানিউজএ ব্যাপারে একাধিকবার বেনাপোল চেকপোস্ট  আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল ওয়াবের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষে এক সৈনিক জানান, বিজিবি বাংলাদেশ গেটের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. শওকাত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।