শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত রাত দুইটার দিকে বেড়া উপজেলার চাকলা ছোন্দহ ব্রিজের কাছে এসে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফর হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে সরকার ট্রাভেলসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাসে করে তিনি পাবনা আসছিলেন।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, বাসটি রাস্তার নিচে খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই রাশেদ কবিরের মৃত্যু হয়। এসময় বাসের আরো ৫ যাত্রী সামান্য আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য বাসে তুলে দেওয়া হয়। বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেছেন বলেও জানান ওসি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা স্যারের পরিবারের কাছ থেকে ঘটনা শোনার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। বিশ্ববিদ্যালয় বুধবার ক্লাস হয়ে দুইদিন ছুটি শেষে আবার শনিবারে ক্লাস হয়। স্যার প্রায় প্রতি বুধবার ক্লাস নিয়ে ঢাকায় চলে যান আবার শনিবারে এসে ক্লাস করান। স্যার তার পরিবার পরিজন নিয়ে পাবনা আসছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্যারের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে তার মরদেহ ঢাকায় তার পরিবারে কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে রাশেদ কবির স্যারের দেশের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঢাকাতে তার পরিবার বসবাস করে।
পারিবারিক সূত্রে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি ঢাকাতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
পাবিপ্রবি’র উতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লা জানান, গত পাঁচ বছরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সব সময় অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। রাশেদ কবির স্যার ১৯৯১ সাল থেকে পাবনায় অবস্থান করছেন। পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে যোগদানের পর থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। এর পরে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে কিছুদিন ছিলেন। পরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রার শুরু থেকে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। প্রথমে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট, রিজোন বোর্ড মেম্বার, বিজ্ঞান অনুষদের তিনবার ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০১৭
আরএ