কিন্তু ভারতের রেল বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমতি দেয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের রেল বোর্ড মনে করছে, এর আগে পরীক্ষামূলক দৌড়ে ভিড় অতিরিক্ত হয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো ব্যবস্থা ছিলো না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পরে এ রুটে ট্রেন চলবে।
দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এর আগেই ০৩ আগস্ট তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। আপাতত সপ্তাহে একদিন ট্রেনটি চলত। পরে যাত্রীর চাপ বুঝে নিয়মিত করা হবে।
গত ০৮ এপ্রিল দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এই রুটের ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে এসি কেবিন ১২ ডলার ও এসি চেয়ার আট ডলার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দু'দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে নতুন ভাড়ার হার কার্যকর করবে।
ভারতীয় রেলওয়ে সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী বগি ও ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে শুরুতে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারতীয় ইঞ্জিন ও রেক দিয়ে চলাচল করবে। ট্রেনটি চালু হলে খুলনা-কলকাতা ১৫০ কিলোমিটার রেলপথ মাত্র তিন ঘণ্টায় যাতায়াত সম্ভব হবে। এটি খুলনা-যশোর-বেনাপোল-পেট্রাপোল-বনগাঁ হয়ে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছবে।
খুলনা-কলকাতা রুটে এক সময় নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর ১৯৭২-৭৩ সালে এ ট্রেন সার্ভিস আবার চালু হয়। ওই সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা দেশে ফেরেন ট্রেনে চড়ে। পরে এ রুটে আর কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
কেজেড/এসএনএস