বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মাতাব্বরনগর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ার ও ঢেউয়ের আঘাতে ব্লক সরে বাঁধ ধসে পড়ছে। এছাড়া ব্লক থেকে ব্লকের দূরত্ব বাড়ায় বাঁধের বেশ কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে।
জানা গেছে, তীর রক্ষা বাঁধের উত্তর অংশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীর ভেতরে ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিং না করে নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণ করে। ফলে চলতি বছর জুন মাসের শেষের দিকে বাঁধে প্রথমবার ধস নামে।
ওই সময়ে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাঁধ ধসের সংবাদ প্রকাশ হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজ শুরু করে। সংস্কার কাজেও জিও ব্যাগে নিম্নমানের বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই বাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম হচ্ছে। ২০০ মিটার বাঁধে যথাযথভাবে জিও ব্যাগ ও ব্লক ডাম্পিং না করায় বাঁধে একের পর এক ধস নামছে। সংস্কার করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, তীব্র জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে ১৫ মিটার বাঁধ নদীতে ধসে গেছে। বৃষ্টির কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। আশাকরি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
এর আগে ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীরে কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার এবং রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
পরে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। এছাড়া কমলনগরে এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পায় নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কিন্তু অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
এসআইজে/আরএ