বর্ষার বৃষ্টিতে কাদা হয়ে সড়কটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক পাকাকরণের দাবি জানানো হলেও এ ব্যাপারে এখনো সরকারি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
ফলে বুধবার (২৬ জুলাই) শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মিলে ওই সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানায়।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, বর্ষাকাল এলেই এই পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। সড়কটি দিয়ে উপজেলার কচুয়া, সাড়াশিয়া, বাসারচালা, মহানন্দপুর, ভণ্ডেশ্বর পাড়া, রামখা পাড়া, কামন্না পাড়া, বেপারী পাড়াসহ ৮-১০টি গ্রাম, কচুয়া হাই স্কুল, কচুয়া প্রাইমারি স্কুল, সাড়াশিয়া-বাসারচালা হাই স্কুল, সাড়াশিয়া প্রাইমারি স্কুল, মহানন্দপুর হাই স্কুল, মহানন্দপুর প্রাইমারি স্কুল, সানস্টার বিএম কলেজ ও কিন্ডারগার্টেনসহ ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দুইটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও পাঁচটি হাট-বাজারের লোকজন নিয়মিত চলাচল করে থাকেন। এছাড়াও এ অঞ্চলে আদা, হলুদ, কচু, বেগুনসহ শাক-সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে বেশি। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য এ সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের।
বর্ষাকালে সাময়িক চলাচলের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসানকে সড়কের বড় গর্তগুলোতে ভরাটের দাবি জানালেও তিনি কোনো দৃষ্টি দেননি। তাই সড়কজুড়ে থকথকে কাদা থাকায় গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ধানের চারা রোপণ করেছে।
সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুছ বাংলানিউজকে জানান, সড়কটি পাকাকরণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার ডাকা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
টিএ/আরএ