ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বন্যায় ভাসছে মোদির গুজরাট, ১১১ প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
বন্যায় ভাসছে মোদির গুজরাট, ১১১ প্রাণহানি গুজরাটের বনসকণ্ঠ জেলার চিত্র

ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা। এখন পর্যন্ত সেখানে ১১১ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেক মানুষ। নিজের জন্মরাজ্য হেলিকপ্টারে চড়ে পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত শুক্রবার (২১ জুলাই) থেকে ভারী বর্ষণের ফলে গুজরাট, তার পাশের রাজস্থানসহ পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে বন্যা দেখা দেয়। কিন্তু সোমবারের (২৪ জুলাই) পর থেকেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।

বুধবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত কেবল গুজরাটেই শতাধিক প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দফতর। উদ্ধারকারীরা বলছেন, বন্যায় গুজরাটের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার শীর্ষে বনসকণ্ঠ জেলা। বুধবার জেলা সদর পালনপুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের রুনি গ্রাম থেকে ১৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে রাজ্যে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ১১১-তে। বন্যায় ভেসে গেছে গুজরাটের সড়কস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদির তত্ত্বাবধানে রাজ্য প্রশাসন ও সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গুজরাটের নিম্নাঞ্চল থেকে অন্তত অর্ধলাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণকে শিগগির নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্যও আহ্বান জানাচ্ছে প্রশাসন।

এরইমধ্যে গুজরাটের জন্য ৫০০ কোটি রুপির ত্রাণ-প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে মারা যাওয়া প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ ও গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার অর্থসাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই তার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন হেলিকপ্টারে করে।

দুপুরে সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বনসকণ্ঠ, পাতান ও সবরকণ্ঠে অন্তত ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে বর্ষণের ফলে সেখানে বাড়তি সতর্কতা দিয়েছে রাজ্যের ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজস্থানেও ৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। সেখানকার জলোর, সিরোহি ও পালি জেলায়ও ভারী বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।