ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না মন্ত্রণালয়!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ফাইল খুঁজে পাচ্ছে না মন্ত্রণালয়!

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে ২৬ হাজারেরও বেশি স্কুল একযোগে জাতীয়করণ করা হয়। সে সময় ওইসব স্কুলের ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০২ জন শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়।  কিন্তু কোন মানদণ্ডে, কিসের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার একটি সারসংক্ষেপ মন্ত্রণালয়ে থাকার কথা।

সেই সার সংক্ষেপ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছিলও। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে সেসব ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিগত কয়েকটি বৈঠকে ওই তালিকা ও মানদণ্ডের রূপরেখা চাওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় জমা দিতে পারেনি।
 
কমিটি সদস্য আ. খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি তালিকা দিলেন আর সেই তালিকা এখনও দিতে পারছেন না। এটা কেমন কথা।
 
এসময় প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, নিশ্চই সব কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। হয়তো কোথাও না কোথাও পাওয়া যাবে। তালিকা না থাকলে আমরা বেতন ভাতা দিচ্ছি কি করে?
 
বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে বলেন,  ফাইলপত্র হারিয়ে গেছে কথাটি ঠিক না। আমরা তাদের নোটিশ করলে নিশ্চয়ই দেবে। যেহেতু দীর্ঘ দিন দিতে পারছে না তাই কথার কথা বলা হয়েছে, তাহলে কি হারিয়ে ফেলছেন? আমরা তাদের দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা বলছে দেবে।
 
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতীয়করণের লক্ষ্যে অনুমোদনের জন্য পেশ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের নামের তালিকা সংসদীয় কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তালিকা খুঁজে না পেলে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
 
বৈঠকে চর, হাওর এবং দুর্গত এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট নিরসনের জন্য আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়। কমিটি জেলা পর্যায়ে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে জেলার উপ-পরিচালকের উপর ক্ষমতা অর্পণের সুপারিশ করে। এছাড়া বিশেষক্ষেত্রে উপ-পরিচালক বদলির প্রস্তাব মহা-পরিচালকের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করে।
 
বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাস্টাররোলে কর্মরত-কর্মচারীদের বিশেষ ক্যাটাগরিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের চাকরিতে নিয়মিত করার সুপারিশ করা হয়।
 
এছাড়া দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৯৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধি করার চিন্তাভাবনা চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রকল্প দুটির টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
 
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ. খ. জ. জামাহাঙ্গীর হোসাইন, মো. নজরুল ইসলাম বাবু এবং মোহাম্মদ ইলিয়াছ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
 
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এসএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।