বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেলে তাদের বাড়িতে গেলে নিহত শিশু ইসমাইল হোসেনের (১০) বাবা আব্দুল কাদির, মো. তাজেল তালুকদারের (১০) বাবা আব্দুল আজিজ, জাকারিয়া আহমেদ শুভের (৮) বাবা ওয়াহিদ মিয়া ও মনির মিয়ার (৭) বাবা আবদাল মিয়া বাংলানিউজকে তাদের অসন্তোষের কথা জানান।
দুপুরে মামলাটির রায়ে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগালের সঙ্গে খালাস দেওয়া হয়েছে তার দুই ছেলে পলাতক আসামি বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়াকেও (৩৫)।
গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে ওই চার শিশু নিখোঁজ হয়। পাঁচদিন পর স্থানীয় ইছাবিল থেকে বালিচাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
নিহত ইসমাইল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসা ও অন্য তিন শিশু সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বাহুবল থানায় ওই চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত শিশু মনিরের বাবা আবদাল মিয়া। আসামিদের একজন গ্রেফতারের পর ক্রসফায়ারে মারা যাওয়ায় বাকি আটজনের বিচার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যার ঘটনার প্রায় ১৭ মাস পরে দেওয়া রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান। বাগালসহ বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল আলী বাগালের ছেলে রুবেল মিয়া (১৮), বাগালের প্রধান সহযোগী (সেকেন্ড ইন কমান্ড) হাবিবুর রহমান আরজু (৪০) ও উস্তার মিয়া (৪৮)। তাদের মধ্যে উস্তার পলাতক। বাকি দু’জন কারাগারে রয়েছেন।
সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগালের আরেক ছেলে জুয়েল মিয়া ও সহযোগী শাহেদ আহমদ (৩২)। পাশাপাশি তাদের দু’জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নিহত শিশুদের বাবাদের দাবি, চার শিশু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাগাল এবং তার দুই ছেলে বিল্লাল ও বাবুল। খালাসপ্রাপ্ত ওই তিনজনের পাশাপাশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনেরও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এনটি/এএসআর