এ কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই মেগা প্রকল্প। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সমীক্ষায় পদ্মা সেতুর ৪৪ শতাংশ ভৌত কাজ শেষ হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৬ মাস পিছিয়ে রয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তে যতখানি অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল তা থেকে ৬ মাস পিছিয়ে রয়েছে বলে আইএমইডির দাবি।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সংসদ ভবনের কমিটি কক্ষে সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে হবে। আমরা বলেছি সময়মতো কাজটি যেন সম্পন্ন হয়। যদিও আইএমইডি দাবি করছে কাজ ৬ মাস পিছিয়ে আছে। তবে মন্ত্রণালয় বলছে যে অবস্থায়ই থাকুক আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ