প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা নিজেও বিষয়টি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তিনি নিজেও ভোটের আগের দিন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার না পাঠানোর বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করছেন।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোটের সময়সীমারও পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। যেহেতু ভোটের আগে নির্বাচনী উপকরণ পাঠানো হবে, সেজন্য ভোটগ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা পিছিয়ে ৯টায় শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে। যেখানে ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৪টার পরিবর্তে ৫টায়।
নির্বাচন কমিশনের নির্ভারযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, ভোট কারচুপি ভোটের আগের রাতেই বেশি হয়। দুর্বৃত্তরা এ ঘটনায় ঘটায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়েই। ফলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কিছু করার থাকে না। তাই ভোটের উপকরণ বিশেষ করে ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের দিন সকালেই কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ব্যালট পেপারের জন্য চটের যে ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেটাও আধুনিক হবে। এক্ষেত্রে এমন ব্যাগ ব্যবহার করা হবে, যার মুখ বন্ধ করার পর আর খোলা যাবে না। খুলতে হলে ছিঁড়তে হবে।
শুধু ভোট কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন নয়, ভোটগ্রহণ পদ্ধতিও স্মার্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে স্মার্ট কালি, স্মার্ট সিল ও স্মার্ট গোপন কক্ষ স্থাপন করা হবে। যা অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে এ উপকরণগুলো একবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কথা রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে বিষয়টি আগামী ৩১ জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় ইসির সংলাপে আলোচনার এজেন্ডায় রাখা হবে। সেখান থেকে আসা মতামতের ভিত্তিতেই বিষয়টি কার্যকর করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস