মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ভোর থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকেলও রাজধানীর সড়কগুলো স্থবির হয়ে থাকতে দেখা গেছে। দিনশেষে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে বৃষ্টি মাথায় হেঁটে যেতে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষজনকে।
বৃষ্টিতে ভিজে বা ছাতা মাথায় হেঁটে বাসায় ফিরবেন তারও উপায় রাখেনি এ নগরী। রাস্তার দু’পাশেই খোঁড়াখুঁড়িতে ফুটপাতে পা বাড়ানো দায়। আর খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে যোগ হয়েছে রাস্তার উপরে রাখা ইট-বালু।
কল্যাণপুর থেকে কলেজগেট এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশেই বিভিন্ন স্থানে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে মাটি। আর এতে রাস্তা সরু হয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ গাড়ির জটলা।
কলেজগেট থেকে বাসে ওঠেন আজিজ আহমেদ নামে এক ব্যবসায়ী। আলাপকালে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মালীবাগ থেকে শ্যামলী আসতে তিনঘণ্টা সময় লেগেছে। এখন আবার মালীবাগ যাচ্ছি। যানজট থাকায় ভাবলাম একটু হেঁটে সামনে যাই। কিন্তু, রাস্তার যে অবস্থা তাতে হেঁটে যাওয়ার উপায় নেই।
এদিকে, তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কজুড়েই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। ইট-বালুর স্তুপে ব্যস্ততম এ সড়কটি হয়ে গেছে প্রায় অর্ধেক। টানা বর্ষণে পুরো সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ।
সন্ধ্যার কিছু আগে বৃষ্টি না থাকায় যারা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন, তাদের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। খুঁড়ে রাখা ফুটপাত ধরে কোনোমতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলছেন তারা।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জাহিদ বলেন, এমনিতেই এ শহরে যানজটে টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও যানজটে দুর্ভোগ বেড়ে যায় বহুগুন। রাস্তাধরে একটু হাঁটবো তারও উপায় নেই। সরকারের এ টানা উন্নয়নকাজ অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/