মহাসড়কের জরাজীর্ণ নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলার কারণে সকাল থেকেই থেমে থেমে যানজট এবং দুপুরের পর থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা-উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার মহাসড়কে দফায় দফায় যানজট দেখা গেছে। তবে দুপুর থেকে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। বিকেল থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বনপাড়া, বগুড়া ও পাবনাগামী মহাসড়কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে যানজটের তীব্রতা।
বগুড়া মহাসড়কের ঘুরকা বেলতলা এলাকায় কথা হয় শ্যামলী পরিবহনের চালক সাইফুলের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৭টায় রংপুর থেকে গাড়ি ছেড়েছি। চান্দাইকোনা থেকে যানজটের কবলে পড়ে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি বিকেল ৫টায়।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক খোকন বাংলানিউজকে বলেন, চান্দাইকোনা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ মিনিটের পথ আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৫ ঘণ্টা।
এস আর গ্রিন পরিবহনের চালক আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে এতোটাই যানজট যে যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অসংখ্য যানবাহনকে।
কথা হয় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী রজনীগন্ধা পরিবহনের যাত্রী সোহাগের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মাত্র ১৯ কিলোমিটার রাস্তা আসতে সময় লেগেছে সাড়ে ৫ ঘণ্টা।
চালক ও যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, সারা রাস্তায় সর্বোচ্চ ৫ কিলোমিটার বেগেও কোনো যান চলাচল করতে পারেনি। এতে যাত্রীরা শুধু নয়, পরিবহনের চালক ও হেলপাররাও হতাশ হয়ে পড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার (ওসি-তদন্ত) রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, হাটিকুমরুল নলকা সেতুর সংস্কার কাজ শুরু চলছে। এ কারণে একটি লেনে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সকাল থেকেই যানজটের সূত্রপাত ঘটে।
ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা ও সলঙ্গা থানা ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুর রফিক জানান, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা প্রায় ২০ কিলোমিটার ও বনপাড়া মহাসড়কের নাইমুড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
নলকা সেতু ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার মেরামত কাজ শেষ হলেই এ যানজট নিরসন হবে বলে জানান তিনি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই মহা ঝামেলার মধ্য রয়েছি। কিছুতেই যানজট নিরসন করতে পারছি না।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নলকা সেতুর কাজ শেষ হতে আরও চার/পাঁচদিন সময় লাগতে পারে।
অপরদিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর সংস্কার কাজ করতে আরও ১০/১২ দিন সময় লাগবে। এসব কাজ শেষ হলে রাস্তায় আর যানজট থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
আরবি/
