জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী উপজেলার অন্তত ৯৭০টি পুকুরের ৬শ ৮৫ মেট্রিক টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এ উপজেলায় মৎস্য খামারি ও চাষিদের ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ৮ শতাধিক পুকুর থেকে ৪শ মেট্রিক টনের বেশি মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকার বেশি বলে দাবি খামারি ও চাষিদের।
ফুলগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এদিকে পরশুরামে দেড় শতাধিক পুকুর থেকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৭৫ মেট্রিক টন মাছ। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের মৎস্যচাষিরা। এখানে ৭০টি পুকুর থেকে প্রায় ৩৪ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে দাবি আসছেন চাষি ও খামারিদের। এছাড়াও পরশুরাম পৌর এলাকায় ২০টি, মির্জানগরের ৫০টি ও চিথলিয়া ইউনিয়নের ১০টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বলে জানা যায়।
গেল সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নদী রক্ষা বাঁধের কয়েক স্থানে ভাঙনে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। সেই প্লাবনেই ভেসে যায় অধিকাংশ পুকুরের মাছ।
জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ক্ষয়-ক্ষতির এ তথ্য জানান। এদিকে দুই উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক মৎস্য খামারি ও চাষি ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
পানি কমতে শুরু করায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরলেও ঘুরে দাঁড়ানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে জানান তারা ।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের মাছচাষি আফসার উদ্দিন জানান, তার চারটি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করা সব মাছ ভেসে যাওয়ায় তার চোখে এখন ঘুম নেই।
মৎস্য অফিস ও ব্যাংকগুলো যদি তাদের সহযোগিতা না করে তাহলে কোনোভাবেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এসএইচডি/এএ