মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-রাঙামাটি সড়ক কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বান্দরবানের।
রোববার (২৩ জুলাই) বান্দরবান-রুমা সড়কে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সঙ্গেও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সকালে চকরিয়া-লামা সড়কের মিরিঞ্জা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ায় এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবান-থানছি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে যানবাহন মালিক সমিতি।
অন্যদিকে বান্দরবান-রুমা সড়কের ওয়াই জংশন এলাকার দৌলিয়ান পাড়ায় পাহাড় ধসে নিখোঁজদের সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রুমা সড়কের পাহাড় ধসে পড়া অংশে মাটি সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ওয়াই জংশন এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সেনাবাহিনী, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঝিরিতে তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযানও ব্যাহত হচ্ছে।
বান্দরবান রিজিয়নের কর্মকর্তা (জিএসটু) মেজর আবু সাইদ মো. মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড় ধসের পর পরই সেনা সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতায় নেমে পড়ে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে সদস্যরা। এক্সাবেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ৩০ জনের বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রোববার সকালে রুমা সড়কের ওয়াই জংশন এলাকার দৌলিয়ান পাড়ায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে কমপক্ষে পাঁচজন মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে সেখান থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এএ