ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দ্রাটিকির চার শিশু হত্যা মামলার রায় বুধবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
সুন্দ্রাটিকির চার শিশু হত্যা মামলার রায় বুধবার

সিলেট: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যা মামলার রায় বুধবার (২৬ জুলাই) ঘোষণা করা হবে। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ মামলায় রায় ঘোষণা করবেন।
 
 

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করেন।  

অত্র আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার মোট ৯ আসামির একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

কারাগারে আছেন ৫ জন, আর পলাতক রয়েছেন ৩ জন।
 
কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- আব্দুল আলী বাগাল (৬০), তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া (১৮), প্রধান সহযোগী (সেকেন্ড ইন কমান্ড) হাবিবুর রহমান আরজু (৪০) ও শাহেদ আহমদ (৩২)।
 
এছাড়া উস্তার মিয়া (৪৮), বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৩৫) এখনো পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরআগে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক সম্পন্ন শেষে রায়ের দিন-তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
 
গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু। তারা হলো- আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।  

নিহত ইসমাইল সুন্দ্রাটিকি মাদরাসায় এবং অন্য তিন শিশু সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।  

নিখোঁজের পাঁচদিন পর স্থানীয় ইছাবিল থেকে বালিচাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হলে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পর সন্দেহজনক চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বাহুবল থানায় আটক চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত শিশু মনিরের বাবা আবদাল মিয়া।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক (ওসি) মোক্তাদির হোসেন ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে তদন্তে ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। পরে চলতি বছরের ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।