আবহাওয়া অধিদফতর সোমবার (২৪ জুলাই) ভূমিধসের আশঙ্কা করেছিল। অব্যাহত অতি ভারী বর্ষণে ভূমিধসের শঙ্কা অন্তত আরও একদিন থাকবে বলে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে। যে কারণে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্ট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) এবং কোথাও কোথাও অতি ভারী (৮৮ চেয়ে বেশি) বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বুধবারও।
এ সময় দিনে ও রাতের তাপমাত্রা অপরবর্তিত থাকবে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। তখন তাপামাত্রাও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত অব্যাহত রেখেছে আবাহাওয়া অধিদফতর।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টিপাতে নাকাল রাজধানীবাসী। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় বেরুনো ভীতিকর অবস্থার জন্ম দিয়েছে। কেননা, সড়কে খানাখন্দ, উন্নয়নের খোঁড়াখুড়ি, সব মিলিয়ে বেশিরভাগ রাস্তার আয়তনই কমে এসেছে। ফলে বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এ কারণে নগরবাসীর কষ্টের কোনো সীমা থাকছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৯ মিলিমিটার। এ বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ফরিদপুরে, ১৭৫ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম, হাতিয়া, কক্সবাজার, সীতাকুণ্ডে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি, ২২৩ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ২১৮ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ২০৮ মিলিমিটার ও সীতাকুন্ডে ১৮৫ মিলিমিটার, বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ