সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে চেয়ারম্যানের অপকর্মের কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন ওই সদস্যরা। একইসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককেও অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরিষদের কার্যক্রমসহ সব উন্নয়ন প্রকল্প একক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন করেছেন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকে মোটা অংকের বরাদ্দ আত্মসাৎ, বয়স্ক ভাতার টাকায় জালিয়াতি, গ্রাম পুলিশ নিয়োগ বাণিজ্য ও অনলাইন সনদপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করছেন তিনি। এসব অপকর্মের বিরোধিতা করলে ১২ ইউপি সদস্যের প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন ইউপি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য কাজল রেখা, রেহেনা খাতুন, উম্মে সুমাইয়া বেলী, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক হোসেন, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য রহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য রিন্টু আলী, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নাহারুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রহিদুল ইসলাম (বিশ্বাস), ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আক্কাস আলী, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু হানিফ, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ইয়ারুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নাজিম উদ্দিন বিশ্বাস।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, তার বিরুদ্ধে সদস্যরা যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
টিএ/আরএ