সংগ্রামী আলী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরে শ্রাবণের বৃষ্টি উপেক্ষা করে রিকশা চালাতে দেখা যায় তাকে।
প্রায় এক যুগ আগে অসুখে তার দু'পা কেটে ফেলতে হয়। তবে পা গেলেও তার মনোবল যায়নি। পরিবারের বোঝা না হয়ে বাড়ির পাশে টং দোকানে চা বিক্রি করতেন। অল্প আয়ে সংসার চালাতে না পারায় গত ৬/৭ মাস ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান তিনি।
রিকশাচালক আলীর দুই ছেলে, দুই মেয়ে। বড় মেয়ে মিসু ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে, ছোট মেয়ে রুবিনা ২য় শ্রেণি ও ছেলে মান্নান ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। সবার ছোট ছেলে ইমনকে আগামীতে স্কুলে ভর্তি করবেন।
চার সন্তানকে পড়ালেখা শিখিয়ে আদর্শ মানুষ করে গড়ে তুলতে তিনি ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন।
আলী জানান, সকালে স্ত্রী ও মেয়ের সাহায্য নিয়ে রিকশায় উঠি। সারাদিন নিজ এলাকা ও লক্ষ্মীপুর শহরে রিকশা চালাই। দিন শেষে চার-পাঁচশ টাকা রোজগার হয়। এই টাকায় সংসার, ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
তিনি বলেন, আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না, সন্তানদের অভাব-কষ্টে রাখতে চাই না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দুইবেলা খেয়ে বেঁচে থাকতে চাই। ছেলেমেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আরআর