ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লিজাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লিজাকে গলাটিপে হত্যা করা হয় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লিজাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী শিশু লিজাকে (১০) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলাটিপে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বিষয়টি জানান।  

শিশু লিজা সখিপুর থানার সরকার কান্দি গ্রামের লেহাজউদ্দিন শেখের মেয়ে।

সে সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, ১৫ জুলাই সকালে লিজা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এরপর থেকে লিজা নিখোঁজ হয়। পরে এ বিষয়ে লিজার কাকি নাসরিন বেগম সখিপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ২২ জুলাই সকালে সখিপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের পাটক্ষেতে থেকে লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লিজার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে সোমবার (২৩ জুলাই) লিজার বাবা লেহাজউদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সখিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সন্দেহবশত প্রতিবেশি ফরিদ শেখকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফরিদ শেখ নিজে এবং প্রতিবেশি রাজ্জাক শেখের ছেলে জাকির শেখ লিজার খুনের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন। এরপর জাকির শেখকেও আটক করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদ ও জাকির লিজাকে জাকির শেখের মামা আলাউদ্দিন শেখের বসতঘরে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা দুইজন লিজাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লিজাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাতে তারা দুইজন লিজার মরদেহ একটি ভ্যানে করে ছৈয়ালকান্দি গ্রামের পাটক্ষেতে ফেলে দেন। এ হত্যা মামলায় ফরিদ শেখ ও জাকির শেখকে মামলার আসামি করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ আরো জানান, লিজাকে হত্যার আট দিন পর কাঁদাপানির মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের আট দিনপর অধিকাংশ মরদেহই পচে যায়। লিজার মরদেহের অধিকাংশ জায়গা পচে গিয়েছিল এবং পোকা ধরেছিল। কিডনি লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গ এমনিতেই নরম হওয়ায় পঁচে গলে যেতে পারে। কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রতঙ্গ কেটে নিয়ে যাওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ মামলার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তে আরো তথ্য জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।