ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মালকে হত্যার অপরাধে লুৎফুর রহমান খালাশী (৩০) নাসে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় মো. সুজন খাঁ (২৫) নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দু’জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত এ দুই আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় দোষী সাবস্ত করে সাত বছর করে সশ্রম করাদণ্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।

হত্যার শিকার ব্যবসায়ী মুকবুল হোসেন মালের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার বড়ই গাঁও গ্রামে। তিনি চাঁদপুরের পুরান বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদশে প্রাপ্ত মো. লুৎফুর রহমানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার পূর্ব ডামুড্যা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত সুজন খাঁ চাঁদপুর শহরের মধ্যম শ্রীরামদী কবর স্থান রোডের নান্নু খাঁর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মুকবুল ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি শহরের পুরান বাজারের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পলাশ ট্রেডার্সের লেন-দেন হিসাব করে রাত ১০টার দিকে সেখানেই ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে লুৎফুর ও সুজন
মুকবুলের দোকানে ঢুকে নগদ টাকা লুট করছিলেন। এ সময় মুকবুল চিৎকার করলে তারা তার গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। ওই চিৎকারে পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির টহলরত সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মুকবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় তারা ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করে।

একই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধাওয়া করে লুৎফুর ও সুজনকে আটক করেন।
এ ঘটনায় নিহত মুকবুলের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে রাতেই ওই দু’জনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদ্বীপ কুমার মজুমদার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ২৩ জনের সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এবং আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এ রায় দেন আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর আসামি জাহাঙ্গীর ঢালীর অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। সরকার পক্ষের সহকারী আইনজীবী ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দ্বেবাশীষ কর মধু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।