রোববার (২৩) জুলাই রাতে ওই গ্রামের বেপারী বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মিতু আক্তার একই বাড়ির আবু তাহের বেপারীর মেয়ে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়াকে প্রেম করে বিয়ে করেন মিতু। কয়েক মাস পরে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর সুরুজ ওমান চলে যান।
মিতুর মা রাবেয়া বেগম বলেন, কয়েকদিন আগে সুরুজ দেশে আসে। বিদেশে থাকা অবস্থায় মিতুর সঙ্গে তার ফোনে যোগাযোগ ছিল। রোববার মিতুর ফোনে কল দিয়ে সে আমাদের বাড়িতে আসবে বলে জানায়। রাতে বাড়ির সামনে এসে আমার মেয়েকে ফোন করে বাড়ির বাইরে যেতে বলে সে। আমি তখন এশার নামাজ পড়ছিলাম। নামাজ শেষে মেয়েকে ডাকতে ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখি বাড়ির এক পাশে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে। সুরুজ আমার মেয়েকে খুন করে পালিয়ে গেছে।
কালচোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় সোমবার সকালে মিতুর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে সুরুজ মিয়া ও অজ্ঞাতনামা দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এসআই